(৪টি এলজি ও গুলি উদ্ধার)

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অস্ত্রধারী ৩ সন্ত্রাসী নিহত

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল

ফাইল ছবি

টেকনাফ হ্নীলা নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান করতে গিয়ে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ৩ অস্ত্রধারী ৩ রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। এই সময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও গুলি।

তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, ৬ এপ্রিল রাত দেড়টারদিকে উপজেলার নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের এইচ বল্ক সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ আটককৃতদের নিয়ে হাবিবের পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে রোহিঙ্গা দূর্বৃত্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।

এসময় থানা পুলিশের এসআই স্বপন, কনস্টেবল মেহেদী হাসান আহত হয়। এমতাস্থায় পুলিশও আত্বরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে রোহিঙ্গা দূর্বৃত্ত এবং পুলিশের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে সংঘটিত হয়। উভয় পক্ষের গোলাগুলি শুরু হয়।

এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলে ঘটনাস্থল থেকে ৩টি গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়।

তারা হচ্ছে হ্নীলা নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের বি-বল্কের এমআরসি নং-৬১৩২৫, শেড নং-১০১৪, রোম নং-৫ এর বাসিন্দা আমির হোছনের পুত্র নুরুল আলম (২৩),এইচ বøকের এমআরসি নং-০৫০৪৭, শেড নং-৬০৪১, রোম নং-৪ এর বাসিন্দা ইউনুছের পুত্র মোঃ জুবাইর (২০) এবং একই বল্কের জনৈক ইমাম হোসেনের পুত্র হামিদ উল্লাহ (২০)।
ঘটনাস্থল তল্লাশী করে দেশীয় তৈরী ৪টি এলজি,৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

তাদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার নেওয়ার নেওয়ার পথেই তারা নিহত হয়।

সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, এই অভিযানে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা দূর্বৃত্তদের হামলায় দুই পুলিশ আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র ও গুলি, উদ্ধার করা হয়েছে।

এরপর গুলিবিদ্ধ দেহগুলো উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার নেওয়ার পথেই তারা তিনজন মারা যায়। লাশগুলোর ময়না তদন্ত রিপোর্ট তৈরী করার জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

উক্ত ঘটনার সাথে যে সমস্ত অপরাধীরা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো বলেন,টেকনাফ থানা পুলিশ সদস্যদের মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী চলমান অভিযান থেকে অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত কোন ব্যক্তি রেহাই পাবেনা।